তীব্র গরমে অনেকেরই পানি স্বল্পতায় জন্ডিসের সমস্যা হয়ে যায়। সাধারণত এই রোগের সাথে খাদ্যের সম্পর্ক রয়েছে। এটিকে খুব সাধারণ একটি সমস্যা মনে হলেও এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। মূলত যকৃতের প্রাথমিক সমস্যা থেকেই জন্ডিস হয়ে থাকে।
একে ভাইরাল হেপাটাইটিসও বলা হয়। জন্ডিস হলে রক্তে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। ১০০ মিলিলিটার রক্তে ১.০ মিলিগ্রামের উপরে বিলিরুবিন থাকলে তাকে জন্ডিস হয়েছে বলা যাবে।
লক্ষণ
জন্ডিস রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় চোখ, মূত্র, গায়ের রঙ হলদে হয়ে যাওয়া, খিদে না লাগা, দুর্বলতা, কাজে অনীহা, পেট খারাপ, মাথা ধরা, জ্বর ইত্যাদি। এই রোগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যায় মস্তিস্ক বাদ দিয়ে পুরো শরীর হলুদ হয়ে যায়। চোখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়।
যা খাবেন
জন্ডিসের খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময় কোনো খাবার বাদ দেয়া হয় না। তবে যে সকল খাবারে রোগী বিরক্ত হয় সে খাবার না দেয়াই ভাল। তবে অবশ্যই এর সঙ্গে থাকবে প্রচুর পানি।
যকৃতের উপর চাপ কমানো ও যকৃতকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে আমিষ, শর্করা, মাঝারি পরিমান স্নেহ ও ভিটামিন গ্রহণের উপর গুরত্ব দেয়া হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় রোগীর যখন খাবারের অরুচি থাকে তখন তরল ও নরম খাদ্য অল্প অল্প পরিমানে বার বার দেয়া উচিত। বাড়িতে তৈরি কম তেল ও কম মসলার খাবার রোগীর জন্য ভাল। ভাজা পোড়া এ সময় খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ এমন খাবার খাওয়া উচিত না যা লিভারের উপর চাপ ফেলে। কারণ অধিক চর্বি লিভারের বিশ্রামে বাধা দেয়।
জন্ডিসের রোগী যা খাবে না
ডুবো তেলে ভাজা খাবার, খাসির মাংস, গ্যাস হয় এমন সবজি পেঁয়াজ, ওলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, ফুলকপি, শিম, ডাটা, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, ইতাদি। এছাড়াও তেঁতুল, কাঁচা লবণ, অ্যালকোহল, মরিচ, সরিষার তেল, ইত্যাদি
No comments:
Post a Comment